রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তালিকা, ১,২২০তম দিন
-
যুদ্ধ পরিস্থিতি: ইউক্রেন-রাশিয়া আপডেট
-
মারিনোভকা ঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলা: ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ শহরের কাছে অবস্থিত মারিনোভকা ঘাঁটিতে চারটি Su-34 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই ঘাঁটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৯০০ কিমি দূরে।
-
সামার শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সামার শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তিন দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা এই শিল্প শহরটিতে।
-
নোবা ক্রুহলিয়াকিভকা দখল: রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা TASS জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের নোবা ক্রুহলিয়াকিভকা গ্রাম দখল করেছে।
-
খেরসনে বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা: ইউক্রেনের দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে একটি “গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ স্থাপনায়” রাশিয়ার হামলায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জানালেন আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রকুদিন।
-
কুরস্কে ড্রোন হামলা: ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ফিনিক্স টিভির এক চীনা যুদ্ধ সংবাদদাতা আহত হয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
-
রাশিয়ার হামলার জবাব: ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৩৬৩টি ড্রোনের মধ্যে ৩৫৯টি এবং ৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
-
রাশিয়ার ড্রোন উৎপাদন বেড়েছে: রাশিয়ায় মে মাসে ড্রোন উৎপাদন ১৬.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারঘনিষ্ঠ একটি গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ড্রোন উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেয়ার পর এই বৃদ্ধির হার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
-
🤝 সংঘর্ষবিরতির আলোচনা
-
ট্রাম্পের মন্তব্য: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মনে করেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে “কিছু একটা হবে” যা বিষয়টি সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে। তিনি সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের কথা উল্লেখ করেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
-
পুতিনের প্রতিক্রিয়া: পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে, এবং এর কৃতিত্ব তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে দিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর অনেক শ্রদ্ধা আছে, এবং তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।
-
শান্তি আলোচনা: পুতিন আরও বলেন, মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন এক রাউন্ড শান্তি আলোচনা করতে প্রস্তুত, যা ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সময় ও স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি।
🛡️ ন্যাটো ও ইউরোপ
-
ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া: লিথুয়ানিয়া জাতিসংঘকে জানিয়েছে যে তারা মানববিধ্বংসী ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করছে। ইতিমধ্যে লাটভিয়া, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড এবং পোল্যান্ড — যারা সবাই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য — একই পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আসা সামরিক হুমকি এ সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
-
ন্যাটো যুদ্ধবিমান নিয়ে উদ্বেগ: এস্টোনিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি F-35A স্টেলথ যুদ্ধবিমান — যেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম — তাদের দেশে রাখে, তাহলে সেটিকে মস্কোর জন্য সরাসরি হুমকি বলে উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন।
-
রাশিয়ার ব্যয় কমানোর ঘোষণা: পুতিন জানিয়েছেন, ২০২৬ সাল থেকে রাশিয়া সামরিক ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা ন্যাটোর পরিকল্পনার বিপরীত। কারণ ন্যাটো আগামী ১০ বছরে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GDP) ৫% পর্যন্ত ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
🚫 নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক চাপ
-
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ: মার্কিন সিনেটের ফাইন্যান্স কমিটির ডেমোক্রেট নেতা সিনেটর রন ওয়াইডেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে চাপ দিয়েছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এবং রাশিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংক পেমেন্ট নেটওয়ার্কে ফিরে আসা বিষয়ে মন্তব্য স্পষ্ট করতে।
-
ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র খনিজ চুক্তি: ওয়াইডেন আরও জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ ও বিনিয়োগ চুক্তি কীভাবে যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা উন্নত করবে, এবং কোনোভাবেই যেন রাশিয়া সমর্থিত সংস্থা বা দেশ উপকৃত না হয়।
-
বাংলাদেশকে নিয়ে ইউক্রেনের অভিযোগ: ইউক্রেনের দক্ষিণ এশীয় একজন শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে অনুরোধ করবে যেন বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, কারণ তারা রাশিয়া-অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে নেওয়া গম আমদানি করছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে আগেই ঢাকাকে সতর্ক করলেও তা বন্ধ হয়নি।